ভৌগলিক পরিচয়
বেড়া উপজেলার উত্তরে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলা ও চৌহালী উপজেলা, দক্ষিণে রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ ঘাট এবং রাজবাড়ি সদর উপজেলা, পুর্বে সিরাজগঞ্জের চৌহালি এবং মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলা, পশ্চিমে পাবনা জেলার সুজানগর ও সাঁথিয়া উপজেলা।
ভৌগলিক অবসহা বিবেচনা করলে দেখা যায়, বেড়া উপজেলার মোট ভূ-ভাগের ৭০%নদীতীর। পদ্মা, যমুনা, হুরাসাগর, ইছামতি, আত্রাই নদী, আর ধলাই, নান্দিয়ারা,মাসুমদিয়া বিলের সাথে এই এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্পৃক্ত রয়েছে। নৌ পরিবহণ, মৎস্য আহরণ ছিল বেড়ার মানুষের মুল পেশা। নিরাপদ নৌঘাট হওয়ার কারণে যুগের পর যুগ ধরে বেড়া হয়েছে উঠেছিল সোনালী আঁশ- পাটের প্রখ্যাত ব্যবসা কেন্দ্র। জনশ্রুতি রয়েছে যে, পাট কেনার জন্য ব্রিটেন থেকে সরাসরি বিমান এসে নামত নাকালিয়া সংলগ্ন যমুনা নদীতীরে। তখন যমুনা তীরবর্তী নাকালিয়া, কৈটোলা, রাকসা, পাইখন্দ, পেঁচাকোলা, নগরবাড়ী, কাজিরহাট, খানপুরা, নটাখোলা অন্যতম ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিল। কালের পরিক্রমায় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে এসেছে নানা বৈচিত্র। পাট ব্যবসার সোনালী সেই দিন নেই, পাটের বড় বড় গুদাম কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে। তবে কাশীনাথপুর এবং বেড়া কেন্দ্রিক নতুন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড শুরু হয়েছে। তাঁত শিল্প এই উপজেলার অন্যতম কুটির শিল্প। প্রায় ২৫%জনসংখ্যা তাঁত শিল্প তথা উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং এর সঙ্গীয় পেশার সাথে সম্পৃক্ত। বেড়া পাম্প হাউজের সেচ প্রকল্পের কারণে কৃষিকাজ আর মৎস্যচাষ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ধান চাষের অবসহা বিবেচনায় এখানে ৬টি রাইস মিল গড়ে উঠেছে। হাস-মুরগী পালন, গাভীপালন দুগ্ধ উৎপাদন ও তার বাজারজাত করণ একটি নতুন শিল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS